মো.হাইরাজ মাঝি।
জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু আলিম মৃধার ছেলে আল মামুন মৃধা ও তার পরিবারকে মারধর করে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুটপাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত আল মামুন মৃধাকে স্বজনরা উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামে মঙ্গলবার রাতে।
জানাগেছে,তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু আলিম মৃধার ছেলে আল মামুন মৃধার সাথে চাচা মজিদ মৃধা ও মন্নান মৃধার বিরোধ চলে আসছে। ওই জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে কামাল মিয়া, সোহেল, রফিক, কবির, মজিদ, বেল্লাল ও মন্নান মৃধা আল মামুন মৃধার ঘরে প্রবেশ করে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তারা তার ঘরে থাকা নগদ ৪৫ হাজার টাকা ও তিন ভরি স্বর্নালংকার লুট করেছে বলে অভিযোগ করেন আহত আল মামুন মৃধা। তাকে রক্ষায় তার স্ত্রী মুন্নি বেগম এগিয়ে এলে তাকে ও তার তিন বছরের শিশু কন্যা আনিষাকে মারধর করেছে তারা। স্বজনরা মামুনকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জায়েদ আলম মিরাজ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।
আহত আল মামুন মৃধা বলেন, জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে কামাল মিয়া, সোহেল, রফিক, কবির, মজিদ, বেল্লাল ও মন্নান মৃধা আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে কুপিয়ে ঘরে থাকা ৪৫ হাজার টাকা ও তিন ভরি স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
ঘটনার সাথে জড়িত সোহেল মৃধা মুঠোফোনে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, মামুন মৃধা আমার চাচাতো ভাই তার সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জায়েদ আলম মিরাজ বলেন, আল মামুন মৃধার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
তালতলী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়েছি। অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।