মো.হাইরাজ মাঝি
বিশ্ব পানিতে ডোবা প্রতিরোধ দিবস উৎযাপন উপলক্ষে উপজেলা এনজিও সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে এবং সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) সহযোগিতায় আলোচনা ও এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬জুলাই)বিকেল (সিআইপিআরবি)প্রজক্টে অফিসের সভাকক্ষে আয়োজতি এ আলোচনা সভায়
এরিয়া কো-অর্ডিনেটর (তালতলী) তারিকুল হাসানের
সঞ্চলনায় ও এনজিও সমন্বয় কমটির সভাপতি মোঃ আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিআইপিআরবি এর ফিল্ড টিম ম্যানেজার মোতাহের হোসাইন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ২০১৬ সাল থেকে সিআইপিআরবি বরগুনা জেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ননকমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম এর আওতাধীন, রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোটস ইনস্টিটিউট (আরএনএলআই) যুক্তরাজ্যের সহযোগীতায় সিআইপিআরবি কমপ্রিহেনসিভ ড্রাউনিং রিডাকশান স্ট্রাটেজি ‘ভাসা-১’ এবং ‘ভাসা-২’ প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু এবং অসুস্থতা কমানোর লক্ষ্যে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) প্রকল্প ভাসা বাস্তবায়ন করছে যেমন আঁচল (একটি নিরাপদ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র), সুইমসেফ (টিচিং সারভাইভাল সাঁতারের দক্ষতা) এবং ফার্স্ট রেসপন্ডার ট্রেনিং (প্রাথমিক চিকিৎসাসেবাদানকারীদের প্রশিক্ষন প্রদান) এবং কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন, CPR দক্ষতা) সাধারন লোকজন এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে নিয়ে। CIPRB এর একটি সমীক্ষায় দেখা যায় যে, আঁচল ৮০%এবং সুইমসেফ ৯০% ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
বাংলাদেশে প্রতিবছর বিভিন্ন অসুস্থতা ও দুর্ঘটনার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। গত ৬ বছরে তালতলীতে পানিতে ডুবে ১০৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী শিশুমৃত্যু হ্রাস করা একটি জরুরি বিষয়। তাই পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। জাতিসংঘ ঘোষিত ২৫ জুলাই বিশ্ব পানিতে ডোবা প্রতিরোধ দিবস সম্পর্কে তাদের সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তাদের সচিত্র উপস্থাপনার মাধ্যমে উপস্থিত সবাই পানিতে ডোবা মৃত্যুর বর্তমান ভয়াবহ চিত্র ও এ থেকে উত্তরণের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পদক্ষেপ সম্পর্কে জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থতি ছিলেন উপজেলার সকল এনজিওর
কর্মকর্তা, বিভিন্ন সাংবাদিক বৃন্দ, সিআইপিআরবির সকল কর্মকর্তা।