বরগুনা প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগের নাম ধারি সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত মোয়াজ্জেম হোসেন খান।আহত মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে (মঙ্গলবার১৬ আগষ্ট) রাত পৌনে নয়টার দিকে আমতলী পৌর শহরের আল হেলাল মোড়ে।
জানাগেছে, ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। ওই নির্বাচনের পর থেকেই স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতির সাথে তার বিরোধ চলে আসছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার ভাই উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের রেসানলে পড়ে বেশ কয়েকবার হামলার স্বীকার হয়েছেন এমন দাবী মোয়াজ্জেম হোসেন খানের। মঙ্গলবার রাত পৌনে নয়টার দিকে মোয়াজ্জেম হোসেন খান আল হেলাল মোড়ে যায়। ওই স্থানে পৌছা মাত্রই উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ ম্যালাকার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইফতেখার আহম্মেদ তোহা, ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন সিহাব, সন্ত্রাসী রুহুল আমিন স্বেছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে থাকে এমন দাবী প্রত্যক্ষদর্শীদের। তাকে কুপিয়ে সড়কে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা।সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাম পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়।
সন্ত্রাসীদের এমন কর্মকান্ডে পৌর শহরের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মোঃ সুমন বিশ্বাস তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।
স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতিকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পরলে তাৎক্ষনিক ছাত্রলীগ, যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রমিকলীগ নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবীতে আমতলী চৌরাস্তায় বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধ করে।এ সময় আমতলী চৌরাস্তায় শতাধিক পরিবহন গাড়ী আটকে পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ওসি একেএম মিজানুর রহমানের আশ্বাসে আধা ঘন্টা পরে অবরোধকারীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, সন্ত্রাসী সবুজ ম্যালাকার, মোঃ ইফতেখার আহম্মেদ তোহা, শাহাবুদ্দিন সিহার, ও রুহুল আমিনসহ ১২-১৫ জন সন্ত্রাসী মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে কুপিয়ে সড়কে ফেলে রেখে চলে যায়। তাদের এমন কর্মকান্ডে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, আমতলীর রাজনীতিতে একটি নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি করেছে অসাধু হাইব্রিড আওয়ামী লীগ।জামাত বিএনপির সময় যারা আমতলী আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের অত্যাচার করেছে। আওয়ামীলীগের সুদিনের সময় তারা আওয়ামী লীগে যোগদান করে ত্যাগি নেতা কর্মীদের উপর অত্যাচার করছে।এরা আওয়ামী লীগ করেনা এরা করে সুবিধা বাদি দল। যখন যে দল ক্ষমতায় এরা সেই দলের লোক হয়।শুধু এতটুকু বলবো
শোকের মাসে ঐ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি গুলো আওয়ামী নেতাকর্মী দের নিশ্চিহ্ন করতে খন্দকার মোস্তকের মত দলে ঢুকে আওয়ামী লীগকে ধংশ করতে চায়। আজ মোয়াজ্জেম খানের উপর বর্বরোচিত এই নরকীয় সন্ত্রাসী হামলা তার নমুনা ।আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।
আহত মোয়াজ্জেম খান বলেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন তপুর নেতৃত্বে সবুজ ম্যালাকার, মোঃ ইফতেখার আহম্মেদ তোহা, শাহাবুদ্দিন সিহাব, সুমন প্যাদা, রাকিব প্যাদা ও রুহুল আমিনসহ -১২-১৫জন সন্ত্রাসী আমাকে কুপিয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন খন্দকার বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মোয়াজ্জেম খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, অবরোধকারীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিযেছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যহত আছে।