বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আমতলীর রাজনীতিতে এখন ঘূণ ধরেছে বলা যায়।
আমতলী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের রেসানলে পড়ে বেশ কয়েকবার হামলার স্বীকার হয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খান এইতো গত১৬ আগস্ট মঙ্গলবার রাত পৌনে নয়টার দিকে আল হেলাল মোড়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সবুজ ম্যালাকার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইফতেখার আহম্মেদ তোহা, ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবুদ্দিন সিহাব, সন্ত্রাসী রুহুল আমিনসহছাত্রলীগ নামধারী একটি সন্ত্রাসী দল। স্বেছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারি কুপিয়ে আহত করে।সড়কে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা । সন্ত্রাসীদেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাম পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। সন্ত্রাসীদের এমন কর্মকান্ডে পৌর শহর সহ পুরো আমতলীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এখন দেখা যায়, টাকার বিনিময়ে নেতৃত্ব পরিবর্তন বা নেতৃত্বের বেচাকেনা। এসব অপকর্ম ইতোমধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছে। অথচ আমাদের দেশ স্বাধীনতা পেয়েছিল রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির মাধ্যমে। তাই যে দেশটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্বাধীনতা পেয়েছে, সে দেশের রাজনীতি কোনো অবস্থাতেই দুর্বৃত্তদের আশ্রয়স্থল হতে পারে না। কুলষিত হয়ে পড়া আমতলীর রাজনীতিতে সংস্কার বা শুদ্ধি অভিযান চলুক।
সুবিধা বাদি নেতৃত্বগুলোর মূলোৎপাটন দরকার। নয়তো সুবিধা বাদি নেতৃত্বের বিষক্রিয়ায় আ.লীগের গৃহীত কর্মসূচি দল বা জনগণের স্বার্থে কাজে আসবে না। আর রাজনীতি যদি জনগণের স্বার্থে না আসে, তবে দলও একসময় কালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে।
আমতলীর রাজনীতি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন,
আমতলীর সুবিধাবাদী একটা পরিবরার আছে।তাদের পৌর মেয়র , উপজেলা পরিষদ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,সকল কিছু তার পরিবারে লাগবে, এরা আ.লীগের নাম ভাঙিয়ে অনিয়ম দুর্নীতি করে। এ বিষয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন প্রতিবাদ করায় তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। ওরা ষড়যন্ত্র করে আমাকে ও আমার পরিবারকে হেনেস্তা করার চেষ্টা করছে, জিএম দেলোয়ারের পরিবার, মোয়াজ্জেম খান,নান্নু খান,শামসু গাজী সহ অসংখ্য আওয়ামী লীগের ত্যাগি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও তাদের পরিবারকে হেনেস্তা করেছে।মিথ্যা মামলা দ্বারা নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। ওরা ওঠতি বয়সের তরুনদের বিপদগামী করে তাদের হাতে তুলে দিয়েছে অস্ত্র, তৈরি করছে সন্ত্রাসী বাহিনী। তাই আমতলী বাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই। দল ও আমতলীর জনগণ বাঁচাতে হলে এ সকল সুবিধাবাদী দুর্নীতিবাজদের আ.লীগ থেকে বহিষ্কার করা জরুরি।নয়তো এরাই খন্দকার মোশতাকের উত্তরসূরী হয়ে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করবে।