তালতলী( বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলী সাগর মোহনায় শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডুবে যাওয়া কেমিক্যাল বোঝাই জাহাজ এম ভি রাফি -১১৪৮ সোমবারও (১ মার্চ) উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি। যে কারণে ধীরে ধীরে পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে ক্যামিকাল বোঝাই এ কার্গো জাহাজটি। ফলে উপকূলর সাগর মোহনা ও নদী ভাসছে অসংখ্য মৃত মাছ জেলে পল্লীতে হাহাকার।
বাণিজ্যিক জাহাজ ও ছোট বড় নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে শুধুমাত্র একটি ভাসমান মার্কিন বয়া দিয়ে দুর্ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। তবে এটি দ্রুত উত্তালন করা না হলে জাহাজটি সরে মূল চ্যানেল ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আর ঘটনাস্থল দেখভাল ও নজরদারি করছে জাহাজের নাবিক ও আমদানিকারকরা। জাহাজের ভেতরে থাকায় প্রায় ৭,৫০ মেট্রিক টন কয়লা নদীর পানিতে মিশে যাচ্ছে। এতে সুন্দরবনের জলজ, বনজ ও প্রাণীজ সম্পদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার রাতে পণ্য ও জাহাজসহ প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়ে কার্গো মাষ্টার ওসমান মোংলা থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন। নদী থেকে কার্গো তুলতে মালিক পক্ষেকে জরুরি চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মইনুল হোসেন মিন্টু বলেন, ডুবন্ত কার্গো জাহাজটি উত্তোলন করা যাবে কিনা এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মালিকপক্ষ, লাইটার শ্রমিক ইউনিয়ন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তাদের দাবি জোয়ারের পানি আর পানির স্রোত কমলে আগামী দু’এক দিনের মধ্যে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, কয়লা বোঝাই ডুবন্ত কার্গো জাহাজটি উত্তলনের জন্য মালিক পক্ষকে তলব করা হয়েছে। পশুর চ্যানেলের পাশে যেহেতু জাহাজটি ডুবেছে তাই চ্যানলের পাশ থেকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মালিক পক্ষ কার্গোটি উত্তোলনে উদ্ধারকারী জাহাজ আনার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানায় বন্দরের চেয়ারম্যান।
৭শ ৫০ মেট্রিক টন কয়লাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি বিবি ১১৪৮ শনিবার রাত সাড়ে ১১ পশুর নদীর সিগনাল টাওয়ার এলাকায় ডুবো চরে আটকে তলা ফেঁটে ডুবে যায়।