তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার তালতলীতে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কমিটির সদস্যদের নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন এবং ওয়াশ বিষয়ক প্রশিক্ষণ সভা করেছে।
বে সরকারি এনজিও কারিতাস বরিশাল অঞ্চল।
সকাল ১০টায় কারিতাস ভবনে,কমিউনিটি ফেসিলিটেটর মিরাজ মৃধার সঞ্চালনায় ও
মাঠ কর্মকর্তা আছিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.জামাল হোসেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ইমাম, ও সাংবাদিকরা। এ সময় বক্তারা বলেন এ অঞ্চলের উপকূলের মানুষও কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ অঞ্চলেই বেশি লবণাক্ততা থাকার কারণে কৃষিও হুমকির মুখে পড়ে।
উপকূলীয় জনজীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপকূলের মানুষের নিত্যদিনের সাথী। নানা বিপত্তি এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের সঙ্গী। যার মধ্যে রয়েছে লবণাক্ততা। লবণাক্ততা কখনো উপকূলীয় বাসিন্দাদের কাছে পৌষ মাস আবার কখনো সর্বনাশ হয়ে থাকে। সমুদ্র উপকূলে কৃষি কাজেও রয়েছে নানাবিধ বাধা যার মধ্যে লবণাক্ততা অন্যতম। শুকনো মৌসুমে অর্থাৎ নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলের মাটিতে লবণাক্ততা দেখা দেয়। এ সময়ে সেচের জন্য প্রয়োজনীয় মিষ্টি পানিও থাকে না, নদী এবং যেসব খালে পানি থাকে তাও প্রায় লবণাক্ত হয়ে যায়। পুকুর এবং বিল শুকিয়ে যায় খুব দ্রম্নত যেগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে থাকত। এমনকি নলকূপের পানির স্তরও অনেক নিচে নেমে যায়, ফলে মিষ্টি পানি খুব দুষ্কর হয়ে যায়। আর এর ফলশ্রম্নতিতে কৃষিকাজ তথা সবজি চাষ হয়ে যায় প্রায় অসম্ভব, ফলে বিপুল পরিমাণ জমি অনাবাদী থাকে পুরো শুকনো মৌসুমজুড়ে। বর্তমানে সরকার উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকদের বিভিন্ন রকম প্রণোদনা দিয়ে। উপকূলীয় এলাকার কৃষক দের এগিয়ে নিচ্ছে। পাশাপাশি কারিতাস জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় বিভিন্ন সভা সেমিনার করায় কারিতাস কে ধন্যবাদ জানান।